দুর্নীতিতে বাংলাদেশের অবস্থান বাংলাদেশের সকল মানুষের ই জানা। প্রতিটি সরকারি দফতরের পরিভাষা যেন (কিছু পেতে হলে কিছু দিতে হয়)। যদিও বা বাংলাদেশ সরকার বার বার দুর্নীতিতে Zero Tolerance নীতি গ্রহন করা হয়েছে বলে দাবি করে আসছে কিন্তু কাজে কর্মে তার কিছু নমুনা আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করবো। Facebook এ ভুক্তোভুগীর পোষ্টটি অনুরুপ ভাবে শেয়ার করছি,
গত বৃহস্পতিবার (১১/০৩/২০২১) আমার ভাইয়ের ই-পাসপোর্ট করার জন্য অনলাইনের আবেদন পত্রসহ সকল কাগজ-পত্র নিয়ে কুমিল্লা পাসপোর্ট অফিসে যাই। সিকিউরিটি চেকিং এর পর আমাদের ২ নং কাউন্টারে দাঁড়াতে বলে। কিন্তু দেখলাম মেক্সিমাম মানুষকে ৪ নং কাউন্টারে লাইন ধরতে বলা হচ্ছে।হাতে গোণা কয়েক জনকে ২ নং কাউন্টারে দাঁড়াতে বলা হচ্ছে।
একটু খোজ-খবর নিয়ে দেখলাম যারা দালাল ধরেছে তারা সবাই ৪ নং কাউন্টারে এবং যারা নিজে নিজে আবেদন করেছে তাদের ২ নং কাউন্টারে লাইন ধরতে বলা হচ্ছে। ২ নং কাউন্টারের এক জনের আবেদন পত্র দেখার সাথে ৪ নং কাউন্টারের ২০-২৫ জনের আবেদন পত্র দেখে ফেলা হচ্ছে। ২ নং কাউন্টারের এক জনের আবেদন পত্র ১৫-৩০ মিনিট করে দেখে এবং একটা না একটা পেপারের অজুহাত দিয়ে বাড়ী পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ২ নং কাউন্টারের একটা মানুষকেও তারা permission দেয়না পাসপোর্ট করার পরবর্তি ধাপে যাওয়ার জন্য। আমাদের কেও দেওয়া হয়নি।
আমার ভাইয়ের স্টুডেন্ট ID কার্ড লাগবে বলে আমাদের চলে যেতে বল্লো। আমরা ২০১ নং রোমে AD sir এর সাথে দেখা করতে সিরিয়ালে দাঁড়ালাম । প্রায় ২ ঘন্টা পর স্যারের রোমে প্রবেশ করে কম্পিউটারের সামনে বসে থাকা লোকাটাকে সব খুলে বললাম। উনি (কোকড়ানো চুল যে উনি না) বললো আপনি ২০৬ নং রোমে যান। তারপর ২০৬ নং রোমে গিয়ে আইডি কার্ডের ব্যাপারে বলাতে উনি বলে অবশ্যয় লাগবে। আমি বললাম স্যার এটাতো ওয়েব সাইট বা অন্য কোথাও লিখা নাই। উনি বল্লো, সব কিছু কি লিখে দেওয়া থাকবে নাকি? আমি বললাম স্যার অনেকের-ই হচ্ছে আইডি কার্ড ছাড়া। উনি বল্লো, দালাল ধরলে আপনারটাও হবে।

0 Comments