ধর্মের নামে রাজনিতি করে হেফাজতে ইসলাম Anti_Modi_Protest এ সারা দেশব্যাপী যে ধংস লিলা চালিয়েছে, তাতে বাদ পড়নি পুলিশের থানা, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, রেল স্টেশন, দোকান পাট ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। এই তান্ডবে সারা দেশে পত্রিকার রিপোর্ট অনুযায়ী ১২ জনের প্রানহানি হয়েছে। এ মৃত্যুর দায়ভার কার, কিন্তু একটি বার ও কি ভেবেছেন হরতাল বা অবরোধ এর সাথে এগুলো ভাঙ্গার বা আগুন জ্বালিয়ে দেওয়ার সম্পর্ক কি?
বলে রাখা ভাল একটি দেশে তখনই গৃহযুদ্ধ শুরু হয় যখন রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও দাঙ্গা ফাসাদ বাধে। আমরা সবাই আফগানিস্তান, সিরিয়া ও ইরাক যুদ্ধ সম্পর্কে অবগত আছি।
দেশের অভ্যন্তরীন যুদ্ধ শুরু হলে ফয়দা লুটে ভিন্ন দেশের নেতারা আর রক্ত যায় নিজেদের।
এটাই চরম সত্য ও বাস্তবতা আর আপনি আমি কি চাইবো নিজের লোকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করি? আপনি হয়তো এটাও জানেন না, যে নেতার প্ররোচনায় আপনি এই ধ্বংসের খেলায় মেতেছেন উনি নিজেও মাঠে ময়দানে আপনার পাশে নেই, বিপদে পড়লে উনি ই প্রথম পালাবে না হয় দল বদলে অন্য দলে যাবে। কিন্তু আপনি আমি সাধারণ মানুষ হিসাবে একই জায়গায় থাকবো (চিৎকার করলেই যেমন কেউ বাঘ হয়ে যায় না তেমনি ধর্মীয় পোশাক পড়লেই কউ আল্লাহর অলি হয়ে যায় না )।
আপনার কোমলমতি শিশুদের যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠাচ্ছেন সেখান থেকে লাশ হয়ে ফিরে আসবে আপনার তা কাম্য নয়, মজার বিষয় হচ্ছে ঐ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক উনারা কিন্তু আন্দোলনে মরছেন বা আহত হচ্ছেন না। বিষয়টি ভাবুন ছোট ছোট শিশুদের ব্যবহার করেছে না তো রাজনীতি করা হুজুরের সংগঠন।
0 Comments